রাবেয়ার মৃত আত্মা পর্ব ২

@Admin
0


পর্ব:০২
আমার মৃত প্রেমিকা রাবেয়ার হাতে বিয়ে করা নতুন বউ নিশির ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে পড়ার মৃত্যুর দৃশ্য সহ্য করতে পারিনি।লুটিয়ে পড়লাম মাটিতে।কত সময় পর চোখ খুললাম তখনও আন্দাজ নেই।কিন্তু বুঝতে পারলাম,রাত অনেক গভীর হয়েছে।নিস্তব্দ উঠোন জুড়ে ঝিঁঝিঁ পোকার আওয়াজ আসছিল বাইরে থেকে।দেখতে পেলাম,সবাই শত উৎকন্ঠা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।স্বাভাবিক হতে আমার কিছুটা সময় লাগে।আর সঙ্গেসঙ্গে কেঁদে উঠলাম,নিশির জন্য।সবাই আমার কান্না দেখে প্রথমে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে।মাকে জিজ্ঞেস করলাম,নিশির জানাযার সময় কখন?আমি মেয়েটাকে বাঁচাতে পারলাম না।আমার কথা শুনে ঘরের মাঝে পিনপিন নিরবতা নেমে আসল।বাবা এগিয়ে এসে বলল,এসব পাগলের মতো কি বলছিস তুই?নিশির জানাযা হতে যাবে কেন?
আমি আবারও কেঁদে বললাম,নিশিকে বাঁচাতে পারিনি,বাবা।আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও।আর তখনই দুধের গ্লাস হাতে নিয়ে নিশি ভেতরে ঢুকে।আমি নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে নিশিকে ধরে বললাম,তুমি বেঁচে আছো তাহলে?
এমন আবোলতাবোল প্রলাপ দেখে বাবা বললেন,তোর মাথা ঠিক আছে?কি বলছিস এসব?
আমি বললাম,বাবা,রাবেয়া আমাকে সুখী হতে দিবে না।সারাক্ষণ আশপাশে ঘুরঘুর করে।আর সুযোগ পেলেই একটা অঘটন ঘটায়।তোমরা দাওয়াত খেতে বের হওয়ার পর আমি বাজারে গিয়েছিলাম নুডুলস কিনতে।আর এসে দেখি,সবকিছু উলটপালট হয়ে আছে।ডিমপাড়া মুরগিটা মরে পড়ে আছে এক কোণায়।বিড়ালটার মাথা থেঁতলানো।আর ভেতরে ঢুকে দেখি,নিশির লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলছে।এই দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারিনি।
আমার বড়চাচা ছিলেন ধার্মিক প্রকৃতির মানুষ।তিনি কিছু একটা আঁচ করতে পেরে বাবা আর আমাকে রুমে রেখে সবাইকে বের করে দিলেন বাইরে।একমনে তসবিহ ঝপে চোখ বন্ধ করে হাঁটাহাঁটি করতে শুরু করলেন রুম জুড়ে।তারপর চোখ খুলে আমার পাশে বসে বললেন,তুই আর নিশি কিছুদিনের জন্য বাইরে থেকে ঘুরে আয়।এই বাড়িতে খারাপ নজর লেগেছে।কিছু একটার ব্যবস্থা করতে হবে।
আমি বললাম,খারাপ নজর নয়,চাচা।রাবেয়ার আত্মা আমার থেকে প্রতিশোধ নিতে চায়।রাবেয়ার লাশ দেখতে যাওয়ার পর থেকেই আমি আশপাশে তার ছায়া দেখতে পাই।
চাচা মাথা নেড়ে বললেন,আমি তা জানি।কিন্তু সবকথা মুখে বলতে নেই।এতে ঝামেলা আর ক্রোধ দুটোই বাড়ে।নিশিকে নিয়ে কয়দিনের জন্য ঘুরে আয়।আমি দেখছি,কি করা যায়।
বাবা আর চাচা চলে যাওয়ার পর আমি ঝিম মেরে কিছুক্ষণ বসে রইলাম বিছানার উপর।মনটা ছটফট করছিল অজানা কারণে।রাবেয়া আমার কাছে আসলে কি চাইছে?ভেবেছিলাম,হয়তো নিশিকে মেরে আমার উপর প্রতিশোধ নিবে।কিন্তু নিশিকে মারেনি।তাহলে সবই কি আমার মনের ভুল?এমন দোটানার মাঝে বারান্দা থেকে গুণগুণ করে গানের আওয়াজ শুনতে পেলাম আমি।সরু কন্ঠটা কেমন পরিচিত লাগছিল!আর তারপরই এক লাফে উঠে দাঁড়ালাম।বারান্দায় উঁকি দিতেই চমকে উঠলাম।সাদা কাপড়ে মোড়ানো রাবেয়ার লাশ বারান্দায় পড়ে আছে।তার লাল টকটকে চোখদুটো খোলা।আচমকা আমার পা চেপে ধরল সে।ধপাস করে পড়ে গেলাম নিচে।তার নখের আঁচড়ে গুঙিয়ে উঠলাম।কিন্তু ভয়ে মুখ দিয়ে শব্দ আসছিল না।রাবেয়ার মৃত শরীর হেসে বলছে,"কিরে,বউকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিস?সাত বছরের সম্পর্ক এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি?আমি তোর সংসার নষ্ট করে দিবো।শুধু দেখে যা,আমি কি করি।" বললাম,"প্লিজ,আমাকে ছেড়ে দাও।আমার ভুল হয়ে গেছে।"কিন্তু রাবেয়ার মুখ যেন আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল।আমাকে আরও শক্ত করে চেপে ধরল তার দিকে।নখের আচঁড় আর নিতে পারছিলাম না।শরীরের সব শক্তি দিয়ে চিৎকার দিলাম আমি।আর একটু পরেই দৌঁড়ে ছুটে আসে নিশি।আমাকে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে মেয়েটা কান্না করে দেয়।বারবার জিজ্ঞেস করে,বিছানা ছেড়ে উঠতে বলেছিল কে?আমি লুঙ্গির আড়ালে পা দুটো ঢেকে ফেললাম সঙ্গেসঙ্গে।এই বিষয়ে কোনো কথা বলিনি।কিন্তু আড়চোখে তখনও দেখি,রাবেয়া জানালার কোণে দাঁড়িয়ে।আমার স্ত্রীর কান্না দেখে সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে।যেন বলছে,বড্ড বাঁচা বেঁচে গেলি আজ।
এই ঘটনার দুদিন পর নিশিকে নিয়ে কক্সবাজারে পাড়ি জমালাম আমি।নিশির মুখখানা তখনও গম্ভীর।তার মনের ভেতরে আমাকে নিয়ে বড় একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছিল সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম।বিকালের দিকে সমুদ্রের পাড়ে হাঁটতে গিয়ে তার হাত ধরে বললাম,দেখো,মানুষের আগের জীবনে এমন ছোটখাটো দূর্ঘটনা থাকে।রাবেয়ার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।কিন্তু তা শুধুই দূর থেকে।এখন তা অতীত হয়ে গেছে।তুমি আমাকে ভুল বুঝবে না।নিশি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলল,"আমি সেটা নিয়ে ভাবছি না।আমি ভাবছি, রাবেয়া কি সত্যিই তোমাকে দেখা দেয়?মানুষ বলছে,রাবেয়ার মৃত্যুর পর তোমার নাকি মাথায় সমস্যা হয়েছে।আসল কারণটা কি আমাকে বলবে তুমি?"আমি শুধু নিশিকে বললাম,"আমার মাথা একদম সুস্থ আছে।অসুস্থ মানুষ কখনো এত নিঁখুত করে কথা বলতে পারে না।তবে রাবেয়ার অস্তিত্ব সত্যিই আমি অনুভব করি।কিন্তু সেটা খুবই ভয়ঙ্কররূপে।"নিশির সাথে বিকালের পর থেকে সম্পর্কটা আবার ঠিক হয়ে যায়।ভালোই চলছিল সবকিছু।আমি ভাবলাম,হয়তো বড়চাচার কথাই ঠিক।সমস্যা আমাদের বাড়িতে।এখানে কোনো ঝামেলাই হবে না।কিন্তু আমার ধারণা ছিল একদম ভুল।আড়ালে ওতপেতে অপেক্ষা করছিল অন্যকিছু।আর সেটা আমার জন্য নয়,নিশির জন্য।
ঘটনাটি ঘটে ঠিক তার দুদিন পর।আমরা সেদিন প্রচন্ড ঘুরাঘুরি করি সকাল থেকে একদম সন্ধ্যা অব্দি।ক্লান্তে চোখে ঘুম জড়িয়ে আসছিল।রাতের খাবার খেয়ে বেশ তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম দুজনে।প্রচন্ড গরমে ঘুম ভেঙে যায় আমার।বালিশের পাশ থেকে এসির রিমোট হাতে নিয়ে অনেক চেষ্টার পরও চালু করতে পারিনি।রাগে রিমোট ছুঁড়তে গিয়ে দেখি,বিছানার পাশে নিশি নেই।প্রথমে ভাবলাম,হয়তো ওয়াশরুম যেতে পারে।কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ওয়াশরুম থেকে কোনো সাড়াশব্দ পেলাম না।ভ্যাপসা গরমের মাঝে আমি তখনও শুয়ে আছি।কিন্তু ডানদিকে ফিরতেই ডিম লাইটের মৃদু আলোতে মেঝের দিকে চোখ পড়তেই স্থির হয়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ।চুল খোলা অবস্থায় একটি কালো ছায়া নিচে বসে আছে।লম্বা ঘন চুলে মুখ ঢেকে আছে তার।ছায়াটির হাতের মাঝে একটি চকচকে ছুরি।মেঝের উপরে সেই ছুরি দিয়ে কি যেন আঁকাআঁকি করছে সে।আমার নিঃশ্বাস তখন দ্রতভাবে উঠানামা করতে শুরু করল।কি করবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।প্রচন্ড সাহস নিয়ে শিরদাঁড়া টান করে বিছানায় বসে পড়লাম।কিন্তু তখনও একটি দৃশ্য আমার দেখা বাকি ছিল।ছায়াটি আর কেউ নয়।অর্ধনগ্ন শরীরে নিশি বসে আছে।আর তার সামনে রাবেয়ার সাদা কাপড়ে মোড়ানো শরীর।নিশি তার হাতের ছুরি দিয়ে মৃত শরীরটাকে ক্ষতবিক্ষত করে চলেছে।আমি কাঁপা কন্ঠে বললাম,এসব কি হচ্ছে?তখনই চুলের আড়াল সরিয়ে একটি সাদা চোখ আমার দিকে তাকালো।সে চোখ নিশির ছিল না।যেন নিশির শরীরে অপার্থিব কিছু ভর করেছিল।ফ্যাসফ্যাসে গলায় উত্তর দিল,"দাঁড়া আমি আসছি।"রাবেয়ার লাশ রেখে নিশি ছুরি হাতে উঠে দাঁড়ালো।সাদা চোখদুটো যেন আমায় কেটে ছিঁড়ে ফেলবে।আমি পেছাতে শুরু করলাম একটুএকটু করে।দেয়ালে পিঠের অস্তিত্ব টের পেতেই বুঝে উঠলাম,আমার সময় আর নেই।মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হবে।নিশি আমার মুখের একদম কাছে চলে আসে।তার হিংস্রতার শব্দ আমি অনুভব করছিলাম।চোখের ভেতরে ক্রোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলছিল।চোখ বন্ধ করে মৃত্যুর জন্য তৈরি হয়ে গেলাম আমি।কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এবারও আমাকে বাঁচিয়ে দিল।এমন সময়ে দূর থেকে ফজরের আযানের শব্দে আমার কোলে ঢোলে পড়ল নিশি।সবকিছু মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেল রুম থেকে।ক্লান্ত শরীরটা চোখ বুঝে এলিয়ে দিলাম নরম বিছানায়।
এই ঘটনার পর নিশিকে নিয়ে পরদিনই হোটেল ছেড়ে বের হয়ে পড়লাম আমি।কথাটা বাবাকে বলতেই তিনি টেকনাফে দূর সম্পর্কের এক খালার বাসায় উঠতে বললেন।নিশি তখনও রাতের ব্যাপারে কিছুই জানে না।বারবার জিজ্ঞেস করছিল,এত সুন্দর রুম রেখে আমরা কোথায় যাবো?আমি চুপ করে রইলাম।কোনো অজুহাত আমার কাছে ছিল না।শুধু মন বলছিল,একা থাকা মোটেও নিরাপদ নয়।যেভাবেই হোক,আমাকে বাঁচতে হবে।ব্যাগপত্র নিয়ে দুপুরের দিকে পৌঁছে গেলাম খালার বাসায়।দরজায় কড়া নাড়তেই ফ্রক পরিহিত ছোট্ট একটি মেয়ে এসে দাঁড়ালো আমাদের সামনে।মেয়েটির কোলে ছিল একটি কালো বিড়াল।আর খালা পরিচয় করিয়ে দিতে যেয়ে ঘটে গেল এক অবাক কান্ড!নিশিকে দেখে বিড়ালটা সমানে ডাকতে শুরু করল।ঠিক ডাক নয়,কান্নার মতো শব্দ।খালা বলল,আমার মেয়ে শিলা।কথা বলতে পারেনা।আর এই বিড়ালটি তার নিত্যদিনের খেলার সাথী।আমি খালাকে জিজ্ঞেস করলাম,বিড়ালটি এমন করছে কেন?খালা তার মেয়ে শীলাকে জিজ্ঞেস করতেই শীলা হাতের ইশারায় কি যেন বলল খালাকে।আমি কিছুই বুঝতে না পেরে তাকিয়ে রইলাম খালার মুখের দিকে।কিন্তু খালার মুখ যেন আচমকা পাল্টে গেল।হাসিমাখা মুখে এসে ভিড়ল আতঙ্কে মেশানো এক বিধ্বস্ত চেহারা।আমি ব্যাপারটা বলতেই তিনি তখন এড়িয়ে গেলেন।
সন্ধ্যার দিকে আমরা বসে গল্প করছিলাম।নিশি আচমকা উঠে চলে গেল বাইরে।এরফাঁকে আমি খালাকে বললাম,শীলা দুপুরের দিকে কি বলেছিল আপনাকে?খালা প্রথমে বলতে রাজি না হলেও আমার জোরাজোরিতে শেষ পর্যন্ত বলেই ফেললেন,আমার মেয়ে বোবা হলেও অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব সহজেই বুঝতে পারে।আজ দুপুরে তোমার স্ত্রী নিশির পেছনে কেউ একজন দাঁড়িয়ে ছিল।আর বিড়ালটি সেই অদৃশ্য অভয়বকে দেখেই ভয়ে এমন কান্না করছিল।আমি কিছু বলতে যাবো,তার আগেই কলপাড় থেকে শুনতে পেলাম নিশির আর্তচিৎকার।দৌঁড়ে গিয়ে দেখি,নিশি দুহাতে মুখ ঢেকে বসে আছে।আর তার পাশে দাঁড়িয়ে শীলা আর ছোট্ট বিড়ালটি।নিশি ভয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,আমি এখানে হাঁটাহাঁটি করছিলাম।আর তখনই কলপাড়ের ওই জায়গা থেকে একটি কুচকুচে কালো মেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হেঁটে আসছিল আমার দিকে।বিড়বিড় করে বলছে,বাঁচতে দিব না।ছায়াটি আমার কাছাকাছি আসতেই বিড়ালটি লাফ দিয়ে আমার সামনে এসে পড়ে।আর হামাগুড়ি দেয়া মেয়েটি কোথায় যেন মিলিয়ে গেল।নিশির কথা শুনে আমি শীলার দিকে তাকালাম।খেয়াল করলাম,মেয়েটির চোখ আমায় কিছু বলতে চাইছে।কিন্তু শীলা তো বলতে পারে না।তার চোখের ভাষা আমি বুঝবো কিভাবে?
এই ঘটনায় নিশি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল।ঘন্টাখানেকের মাঝে জ্বর চলে আসে শরীরে।জ্বরের মাঝে আপনমনে বিড়বিড় করছিল সে।আমি আর খালা তো চিন্তায় শেষ।রাতেই ডাক্তারকে ডেকে আনা হলো।কড়া ডোজের ঔষধ দিয়ে বলল,সকালের মাঝেই ঠিক হয়ে যাবে।আমি পাশাপাশি জলপট্টির ব্যবস্থা করলাম।এরমাঝে কখন যে চোখ লেগে আসে টেরই পেলাম না।নিশির নড়াচড়ায় ঘুম বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।কিন্তু চোখ খুলতেই টের পেলাম,আমি আর নিশি ছাড়াও এই রুমে কেউ একজন আছে।আর সে আমার খুব কাছে দাঁড়িয়ে।আমি নড়াচড়া না করে আড়চোখে তাকালাম কিছু দেখার আশায়।আর আবছায়া অন্ধকারে প্রথম চোখে পড়ল বিড়ালটিকে।অন্ধকারে তার চোখদুটো জ্বলজ্বল করছে।বিড়ালটির পাশে আছে শীলা।ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটিকে দেখে পুরানো ভয়টা আবার চেপে ধরল আমাকে।এতরাতে শীলা আমার রুমে আসলো কিভাবে?তবে কি রাবেয়া এবার শীলার শরীরে ঢুকে পড়েছে?এমন কল্পনার মাঝেই শীলা আমার পাশে এসে বসে পড়ে।আমার শরীর আবার কাঁপতে শুরু করল।আমার বামহাতের উপর তখন নিশি শুয়ে ছিল।এমন অবস্থায় শীলা আমার গলা চেপে ধরলে নিজেকে রক্ষা করার কোনো শক্তিই থাকার কথা নয়।এমন দোটানার মাঝে আমায় অবাক করে দিয়ে কথা বলতে না পারা শীলা বলে উঠল,সময় হাতে বেশি নেই।রাবেয়ার আত্মা বন্দী হয়ে আছে।তাকে মুক্ত করতে না পারলে তুমি আর নিশি বাঁচতে পারবে না।তোমাদের তিনজনকে কেউ একজন একেবারে মারবে না। তিলেতিলে একদম সময় নিয়ে মারবে।
অন্ধকার ছেড়ে দ্রুতই মিলিয়ে গেল শীলা।কিন্তু আমি কি ভুল শুনেছি?শীলা তো কথা বলতে পারেনা।তাহলে কে কথা বলল আমার সাথে?আর রাবেয়ার আত্মা বন্দী হয়ে আছে মানে?আর কেউ একজন কে হতে পারে সে?
................চলবে................
written by Habib Khan Hridoy



Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)