"নন্দিনী হোটেলে"

@Admin
0

 


বছর দেড়েক পর আবার তোমাকে দেখলাম "নন্দিনী হোটেলে"। অনেক সুন্দর লাগছিল তোমাকে। মানুষ বলে -সময় পাল্টানোর সাথে সাথে চেহারাও পাল্টে যায়। কিন্তু তুমি তেমনই আছো... যেমন বছর দেড়েক আগেও ছিলে। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি, ডাগর ডাগর চোখে গাঢ় করে কাজল, কপালে কালো টিপ, লম্বা কেশ। সবকিছুই আগের মতোই আছে।শুধু তোমার ভিতর আমি'টা আর নেই। তোমার এক ইঞ্চি আট গ্রাম চোখের মাঝে আমি নেই। দুইশ তিরাআশি দশমিক ঊনপঞ্চাশ গ্রাম হার্টের আনাচে কানাচেতে আমি নেই।


পাশাপাশি টেবিলে বসা দুজন। খুব কাছে থেকে দেখছিলাম তোমায়, ইচ্ছে করছিল তোমাকে আলতো করে ছুঁয়ে দেয়।এতোটা কাছে থাকার পরও মনে হচ্ছিল তুমি আলোকবর্ষ দূরে।এক পাহাড় দুরত্ব তোমার আমার
।কষ্ট কি জানো! 'এতোটা কাছে থেকেও তোমাকে আমি
"তুমি" বলে ডাকতে পারিনি। আমি দূর থেকে যতবার তোমাকে দেখেছি ঠিক ততবার তুমি বলে ডাকার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। তুমি আমার হয়েও হলে না।

"ভালো থেকো" বলে তোমার সেই চলে যাওয়া; আমি কোন মতেই মানতে পারিনি। সে সময়ের বর্তমানটা আমার একটুও সহ্য হতে চাইনি! বার বার মনে হয়েছে, হ্যাঁ সেই তুমি, সেই তুমি তো এখনো আমারই আছো ।
তোমাকে যেদিন আমি হারিয়ে ফেলি, সেদিন থেকে তুমি আবার একদিন আমার হবে; এমন এক ভয়াবহ ফ্যান্টাসি নিয়ে আমার বহু দিন পেরিয়ে গেছে। যখন বুঝতে শিখলাম , একটু একটু করে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। মেনে নিলাম আমি 'তুমি আর ; সত্যিই আর আমার নেই'। সে পরিস্তিতি'র সময় যদি ভুল করে থেমে যেত ; বড্ড অঘটন ঘটে যেত আমার তোমার ।

তুমি ছেড়ে যাওয়ার পর,তোমার আমার মজার বিষয়টা কি জানো? আমি বন্ধু মহল কে ইনিয়ে বিনিয়ে কত মিথ্যে বলেছি, তোমাকে আমি ভুলে গেছি। তেরোশো থেকে চৌদ্দশো গ্রামের মস্তিষ্কে যে মানুষটা বিভোর থাকতো তারে কি ভোলা যায়! মাইকিং করে যদি বলি আমার অবুঝ মন বিশ্বাস করবে, তোমাকে আমি ভুলে গেছি ! নন্দিনী হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় খেয়াল করলাম, -তুমি শাড়ির কুঁচি সামলাতে ব্যস্ত আর আমি চোখের নোনাজল। চোখের দুফোটা জল জানান দেয় -তুমি আমার মনের কোথায় না কোথাও ঘাপটি মেরে আজও বসে আছো।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)